ads header

সাম্প্রতিক ইভেন্ট

লোটাস ট্রাভেলসের সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ

 



খাবারঃ (সর্বমোট ৬ টি খাবার) 

সকালের নাস্তা ২টি, 

দুপুরের খাবার ২টি,  

রাতে খাবার ২টি,

ভ্রমন তারিখঃ ৪ থেকে ৬ মার্চ ২০২৪


পরিবহনঃ এসি বাস   

সম্ভাব্য বাসঃ  মিয়ামি ট্র্যান্সপোর্ট

থাকার ব্যবস্থাঃ এম ভি আরিয়াল সী, এম ভি রিভার ক্রুজ বা সমমানের।  


প্যাকেজ (০১) মূল্যঃ জনপ্রতি ২১,০০০/-  ১৯,০০০/-



প্রতিটি ট্যুর প্যাকেজ “ফ্যামিলি এবং নারী-শিশুদের কথা মাথায় রেখে প্ল্যানিং করা হয়। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেতে পারবেন।  

🌲সুন্দরবনে রকমারী স্বাস্থ্যসম্মত হালাল খাবার সহ

ভ্রমণ স্পট:

. হাড়বাড়িয়া

. জামতলা সী-বীচ

. কটকা অভয়ারণ্য

. হিরণ পয়েন্ট 

. করমজল

.টাইগার টিলা

.দুবলার চর


বিস্তারিত ট্যুর প্ল্যান

রাত ০১: কুমিল্লা থেকে খুলনা,

>কুমিল্লা  থেকে যাত্রা শুরু বিকাল ৪টা।


দিন ০১:জাহাজে ওঠা 

১ম দিনঃ

সকাল ৭:০০ খুলনা বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ  ঘাট থেকে  আমাদের গাইড আপনাকে রিসিভ করে শীপে নিয়ে যাবে।পশুর নদী ধরে শীপ চলবে হাড়বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে। দুপুরের খাবার খেয়ে নামবো "হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে । আগে পিছনে গান ম্যান রেখে সারিবদ্ধ ভাবে যাবো নির্ধারিত ফুট ট্রেইল ধরে। মিষ্টি জলের পুকুর পার হয়ে ঢুকবো গভীর বনে৷ দু,পাশে থাকবে ঘন শ্বাসমূল যুক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। সুন্দরী, গোলপাতা,গেওয়া গাছ এই বনে বেশী। প্রচুর হরিণের পায়েরছাপ এবং নিশ্চুপ থাকলে হরিণের পাল দেখা যাবে। কাকড়ার পাল ছুটে লুকাবে আপনার চলার শব্দে।প্রায় ১ মাইল ট্রেইল ঘুরে পুকুরের উপর নির্মিত কাঠের রেষ্ট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে শীপে ফিরে আসবো। শীপে ফিরে আমরা আন্ধারমানিকের উদ্দেশ্যে রওনা দিবো, আন্ধারমানিক ভিজিট শেষ করে  ফিরে দুপুরের খাবার খাবো। শীপ চলবে সাগরের মোহনায় অবস্থিত "কটকা অভয়ারণ্


রাত ০২: রাতে জাহাজে অবস্থান, 

(*রাতের খাবার অন্তর্ভূক্ত)


দিন ০২: সুন্দরবন ভ্রমন করা, 

খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশী নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং এবং চুপ থেকে বনের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবো৷ সেখান থেকে টাইগার ট্রি'র ঝোপ,হরিণের বিচরণের মাঠ এবং গভীর বন পেরিয়ে আড়াই কিলো দূরের বাদামতলা সী বীচে যাবো। উপভোগ করবো বাংলাদেশর দুই গর্ব "সুন্দরবন" এবং 'বঙ্গপোসাগর " এর মিলন স্থান।

একি পথ ধরে ফিরে এসে ট্রলারে করে যাবো কটকা অফিস পাড় । খুব কাছ থেকে হরিণের পাল দেখে ফিরবো শীপে ৷ শীপ যাবে হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে। আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা হিরণ পয়েন্ট ভিজিটে যাবো, সেখান থেকে ফিরে 

 আমরা যাবো দুবলার  চর শুটকি পল্লীর উদ্দেশ্যে।আমরা বিকালে দুবলার চর পৌঁছে যাবো,দুবলার চর যেয়ে আমরা সমুদ্রের সাথে  সূর্যাস্ত দেখে শুটকি পল্লী ঘুরে (সময় সাপেক্ষে) আমরা সন্ধ্যার দিকে লঞ্চ ঘাটে চলে আসবো এবং যাত্রা শেষ করবো 


রাত ০৩: খুলনা থেকে কুমিল্লা ,

(*রাতের খাবার অন্তর্ভূক্ত)


ভ্রমনকালে যা সাথে বহন করবেন: কেডস, ব্রাশ, টুথপেস্ট, সানব্লক লোশন, ছাতা, টর্চ লাইট, প্রয়োজনীয় ঔষধ।

নিরাপত্তাঃ 

গেষ্টের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কখনও আপস করি না । আমাদের সর্বচ্চো অগ্রাধিকার থাকে গেষ্টের নিরাপত্তা নিয়ে। বনবিভাগ থেকে থাকবে সার্বক্ষনিক আর্মসসহ দুই জন নিরাপত্তা কর্মী । এবং থাকবে আমাদের নিজেস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে VHF এর মাধ্যমে  ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন।

সুন্দরবন_ভ্রমণের_করনীয় :

উজ্জল রঙ্গের কাপড় ( যা অনেক দূর থেকে চোখে পড়ে ) পরিহার করা। হালকা রঙের এবং ঢিলে ঢালা ফুল স্লিব পোশাক পরা।

কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার না করা। 

পিছনে বেল্ট আছে এবং পানিতে ভিজলে নষ্ট হবে না এমন সেন্ডেল / কেডস সাথে নিতে হবে।  সু/ হাই হিল নিবেন না। এডভেঞ্চার ট্যুরে লাগেজের সাইজ ছোট হওয়াই ভালো।

জঙ্গলে নামার পর কোন অবস্থাতে উচ্চ স্বরে কথা বলা যাবে না এবং খুব প্রয়োজন না হলে কথা না বলেই ট্রাকিং করতে হবে।

যেহেতু সমস্ত প্রয়োজনীয়  সব কিছু আমাদের খুলনা থেকে নিয়ে উঠতে হবে তাই পানি অপচয় না করা (নদীর পানি নোনা) এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা।

জঙ্গলে নামার পর সু-শৃক্ষল ভাবে হাটতে হবে এবং কোন অবস্থাতে দল ছুট হওয়া যাবে না।

গাছের ডাল, পাতা বা লতায় হাত দেওয়া বা ছেড়া যাবে না।

পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন: পলিথিন বা প্যাকেজিং বস্তু যত্রতত্র ফেলা যাবে না। স্থানীয় এবং অন্য ভ্রমণকারী দলের সদস্যদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

গাইড এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশনা মেনে চলা।

আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা আপনাদের নিরাপত্তা এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য। তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।

বি দ্রঃ ভ্যাসেলে উঠার পরে কোন প্রকার কেনাকাটার সুযোগ নেই। এবং বনের গভীরে কিছু জায়য়গায় শুধু টেলিটক মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।


ভ্রমন প্যাকেজে অন্তর্ভূক্তঃ

  • গিফট বক্স

  • এম ভি আরিয়াল সী, এম ভি রিভার ক্রুজ জাহাজে ১ রাত থাকার ব্যবস্থা। 

  • কুমিল্লা-খুলনা-কুমিল্লা এর রিটার্ন টিকেট।

  • সার্বক্ষনিক অভিজ্ঞ টুরিস্ট গাইডের সেবা। 

  • ২টি সকালের নাস্তা, ২টি দুপুরের খাবার এবং ২টি রাতের খাবারের ব্যবস্থা। 

  • হোটেলে আনলিমিটেড WiFi সার্ভিস। 

  • সকল প্রকার হোটেল এবং রেস্টুরেন্টের ভ্যাট।


ভ্রমন প্যাকেজে অন্তর্ভূক্ত নেইঃ

  • ভ্রমন “প্যাকেজে অন্তর্ভূক্ত” নয় এমন কিছু ।

  • সকল বাক্তিগত খরচ,ভ্রমন এবং অতিরিক্ত খাবার ।

  • ছবি তোলার খরচ,অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ ।

  • ভ্রমন প্যাকেজে অন্তর্ভূক্ত নয় এমন কোন স্থানে ব্যক্তিগত ভাবে ভ্রমণ করলে ।

  • চিকিৎসা বীমা এবং ভ্রমন বীমা ।

শর্তাবলীঃ

  • ৫ বছরের কমের শিশুদের ফ্রী, ৫ - ৭ বছরের শিশু দের অর্ধেক(রুম শেয়ার সাপেক্ষে), ৭ বছরের ঊর্ধ্বে সম্পূর্ণ প্যাকেজ মূল্য দিতে হবে। 



কোন মন্তব্য নেই