ঘুরে বেড়ানোর টাকা নেই? সমাধান নিন এখানে
নিত্যপণ্যের দাম যতই ঊর্ধ্বগতিতে ছুটছে, ততই মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ভ্রমণের খরচ। টাকা ছাড়া ভ্রমণ করতে কে না চায়। ভ্রমণের টাকার বা খরচের কথা মাথায় চলে আসে হাজার চিন্তা। আমাদের মনে হয় ভ্রমণ মানেই অনেক টাকা খরচের ব্যাপার। টাকা ছাড়া কিভাবে বিশ্ব ভ্রমণ করবেন বা কম টাকায় কিভাবে ঘুরে বেড়াবেন তার সব পাবেন আজকেই এই লেখায়।
ঘুরে বেড়ানোর টাকা নেই? তবে মনে রাখবেন ভ্রমণ করতে টাকা না, প্রচন্ড ইচ্ছেশক্তি লাগে। ভ্রমণ করতে টাকা লাগে। কিন্তু যাদের অনেক টাকা আছে তারা কি
ভ্রমণ করতে পারে? টাকা ছাড়াই গোটা বিশ্ব ভ্রমণ করবেন শুধুমাত্র আপনার
ইচ্ছাশক্তির কারনে। আজকের পর থেকে টাকা ছাড়া ভ্রমণ সম্ভব নয়-এই কথাটা মাথা থেকে সম্পূর্ন জেড়ে ফেলে দিন।
টাকা ছাড়া কি পৃথিবী ভ্রমণ করা যায়?
খাবারের নমুনা, স্থানীয় উত্সব, এবং প্রশংসাসূচক হাঁটা সফরগুলি যে কোনও অর্থ ছাড়াই ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য অবিচল সঙ্গী হিসাবে কাজ করে ৷ এই সম্পদগুলি অমূল্য প্রমাণিত হয় যখন বাজেটে বিশ্বকে অন্বেষণ করার চেষ্টা করা হয়, এমনকি যথেষ্ট তহবিলের অভাবে সাংস্কৃতিক নিমজ্জনকে সহজতর করে।
টাকা না থাকলে কি ভ্রমণ করা উচিত?
যেহেতু এই প্রশ্নটি প্রায়শই আসে, তাই আমি ক্রমাগত লোকেদের এই সত্যটি মনে করিয়ে দিতে চাই: ভ্রমণের জন্য আপনার ধনী হওয়ার দরকার নেই । এর পুনরাবৃত্তি করা যাক: ভ্রমণের জন্য আপনার ধনী হওয়ার দরকার নেই। বাজেটে (এবং বিনামূল্যে) ভ্রমণ করার জন্য প্রচুর উপায় রয়েছে — আপনাকে কেবল সৃজনশীল হতে ইচ্ছুক হতে হবে।
ফ্রিতে ভারত ভ্রমণ?
বিনামূল্যে ভ্রমণের সবচেয়ে ফলপ্রসূ উপায়গুলির মধ্যে একটি হল স্বেচ্ছাসেবক । ভারত জুড়ে অসংখ্য সংস্থা রুম এবং বোর্ডের বিনিময়ে ভ্রমণকারীদের তাদের সময় এবং দক্ষতা অবদান রাখার সুযোগ দেয়। ইংরেজি শেখানো থেকে শুরু করে জৈব খামারে কাজ করা পর্যন্ত, সম্ভাবনা অন্তহীন।
বিশ্ব ভ্রমণ করতে কত টাকা লাগে?
সুতরাং, এটার দাম কত? সাধারণভাবে, এক বছরের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করার জন্য আপনার প্রতি ব্যক্তি প্রতি $25,000 থেকে $35,000 খরচ হবে বলে আশা করা উচিত। এই মোটামুটি অনুমান অন্যান্য ব্লগারদের ভ্রমণ বাজেট, বিভিন্ন ভ্রমণ পরিকল্পনা সংস্থান এবং আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে আসে।
তবে যতই অর্থনৈতিক সংকট হানা দিক, কিছু ভ্রমণপিপাসুর মন প্রবোধ মানে না কিছুতেই। আর এ লেখাটি তাঁদের জন্যই। চলুন দেরি না করে চটপট জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে বাজেটবান্ধব একটা ট্যুর দিয়ে ‘মাথাটা খালি করে’ ফুরফুরে মন নিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বেন:
২. কোথাও ঘুরতে গিয়ে গণপরিবহনে চড়ুন। আর হোটেলের ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বাদ দিয়ে বরং ঘুরতে বেরিয়ে স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এমনকি ঘুরতে বের হয়ে যদি খাবারের বিষয়টা মুখ্য না হয়, তাহলে সঙ্গে ডিম সেদ্ধও রাখতে পারেন। ডিম কিনে হোটেলে কেটলিতে বা চুলায় সেদ্ধ করে খেয়ে চালিয়ে দিতে পারেন (অবশ্য এই মুহূর্তে ডিমের দামও লাগামছাড়া! )।
৩. ছুটির দিন বা ছুটির সময় ঘুরতে বের না হলেই ভালো। সে সময় ভিড়ও যেমন বেশি, তেমনি চাহিদা বেশি থাকায় সবকিছুর দামও বেশি থাকে!
৪. কোথায় কী খরচ করছেন, সেগুলো টুকে রাখুন। খরচ লাগামের ভেতরে রাখতে সুবিধা হবে।
৫. স্থানীয় বাজার থেকে দরদাম করে কেনাকাটা করুন। দাম নিয়ে ধারণা না থাকলে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন বা অন্য কয়েকটা শপ থেকে যাচাই করে নিতে পারেন।
৬. দল বেঁধে ভ্রমণ করলে এমনিতেই খরচ বেশ খানিকটা কমে আসে। বিভিন্ন ভ্রমণের গ্রুপের আয়োজনে ঘুরে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভ্রমণের ঝক্কি আর খরচ দুটোই কমে যায়।
৭. পানি কিনে না খেয়ে পানি বহন করতে পারেন। অনেক দেশে পানির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ট্যাপের পানি ফুটিয়েও খেতে পারেন।
৮. ঘুরতে বের হয়ে জামাকাপড়, জুতা ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যত কম নিয়ে যাবেন, ততই ভালো। বরং আরামদায়ক সহজে বহন করা যায়, এ রকম কয়েকটি পোশাক নিন।
কোন মন্তব্য নেই