ads header

সাম্প্রতিক ইভেন্ট

বাংলার তাজমহল কিভাবে যেতে হয়, সময়সূচী ও টিকেট মূল্য

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পেরাব গ্রামে নির্মিত হয়েছে অনুপমশৈলীর স্থাপত্যে বাংলার তাজমহল। সোনারগাঁও এর কাছাকাছি হওয়ায় অনেকের কাছে "সোনারগাঁও বাংলার তাজমহল" নামেও পরিচিত এই দর্শনীয় স্থানটি। বাংলার তাজমহল কিভাবে যেতে হয়, সময়সূচী ও টিকেট মূল্য জানতে বিস্তারিত পড়ুন।


সোনারগাঁও বাংলার তাজমহল কোথায় অবস্থিতঃ

বাংলার তাজমহল (Banglar Tajmahal) ঢাকা থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে, উত্তর-পূর্বে সোনারগাঁওয়ের পেরাবে অবস্থিত। 

Read More:নিকলী হাওর (Nikli Haor), মিঠামইন (Mithamain) এবং অষ্টগ্রাম (Austagram)–কিশোরগঞ্জ হাওর ভ্রমন

সোনারগাঁও বাংলার তাজমহল কে বানিয়েছে?

বাংলার তাজমহলের মালিক বাংলাদেশেরই চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক আহসানউল্লা মনি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তার 'তাজমহলের কপিক্যাট সংস্করণ' প্রকল্পের ঘোষণা করেন। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। আহসানউল্লা মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দু’জনের কবরের স্থান সংরক্ষিত আছে বাংলার তাজমহলের ভিতরে । 

Read More: ঘুরে বেড়ানোর টাকা নেই? সমাধান নিন এখানে

বাংলার তাজমহলে যা যা দেখবোঃ

সোনারগাঁও বাংলার তাজমহলের চার কোণে চারটি বড় মিনারমাঝখানে মূল ভবনসম্পূর্ণ টাইলস করা। সামনে পানির ফোয়ারাচারদিকে ফুলের বাগানদুই পাশে দর্শনার্থীদের বসার স্থান। 

এখানে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রাজমনি ফিল্ম সিটি রেস্তোরাঁ, উন্নতমানের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা। রয়েছে রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও। ইচ্ছা করলে যে কোনো দর্শনার্থী এখানে ছবি তুলতে পারবে। তাজমহলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী, জামদানি শাড়ি, মাটির গহনাসহ আরও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী।

 মিসরের পিরামিডের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে পিরামিড। করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর। এখানে ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পাশেই রয়েছে, শুটিং স্পট সেখানে যে কোনো নাটক, সিনেমার সব ধরনের শুটিং করা সম্ভব। আরও রয়েছে, ২৫০ আসনবিশিষ্ট সিনেমা হল ও সেমিনার কক্ষ। সুইমিংয়ের কাজ চলছে।  তাছাড়া তাজমহল দেখা শেষে মুড়াপাড়ার জমিদার বাড়িপানাম নগরলোকশিল্প জাদুঘরচৌদ্দার চরজিন্দাপার্ক ঘুড়ে আসতে পারেন।


বাংলার তাজমহল খোলা-বন্ধের সময়সূচী ও টিকেট মূল্য:

বাংলার তাজমহল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।বাংলার তাজমহল সপ্তাহের সব দিন খোলা থাকে। তাজমহল এবং পিরামিডের প্রবেশ মূল্য একসাথে পরিশোধ করতে হয়, শুধুমাত্র তাজমহল বা পিরামিড দেখার সুযোগ নেই। জনপ্রতি প্রবেশ টিকেটের মূল্য ১৫০ টাকা।

সোনারগাঁও বাংলার তাজমহল কিভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে বাংলার তাজমহলে খুব সহজেই যাওয়া যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, দাউদকান্দি অথবা সোনারগাঁ গামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়। সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগে ১৫-২৫ টাকা। সেখান থেকে সিএনজি বা স্কুটারে জনপ্রতি ২৫-৩৫ টাকা ভাড়ায় সহজে যাওয়া যায় তাজমহলে। ঢাকা থেকে সোনারগাঁও বাংলার তাজমহল যাওয়ার সময় চমৎকার সব ভিডিও ধারণ করতে পারেন। 

অন্যভাবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জগামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়, সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ২০ টাকা। এখান থেকে সিএনজি স্কুটারে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন বাংলার তাজমহল।


Related Topics:

সোনারগাঁও তাজমহল কিভাবে যেতে হয়?

বাংলার তাজমহল কিভাবে যাব?

ঢাকা থেকে সোনারগাঁও তাজমহল যাওয়ার ভিডিও

সোনারগাঁও জাদুঘর বন্ধের দিন

সোনারগাঁও জাদুঘর সময় সূচি

বাংলার তাজমহল কি বার বন্ধ থাকে?

সময়সূচী ও টিকেট মূল্য

তাজমহল কে নির্মাণ করেন

বাংলার তাজমহল, নারায়ণগঞ্জ

সোনারগাঁও বাংলার তাজমহল কোথায় অবস্থিত

বাংলাদেশের তাজমহল কে বানিয়েছে?

কোন মন্তব্য নেই